সন্দীপন তালুকদার সুজন, শাল্লা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাহানারা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। এই নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্কুল ম্যাজেজিং কমিটির সভাপতি সহ এলাকার স্থানীয়রা। নির্মিত ভবনে ঠিকাদারের কোন সাইনবোর্ড না থাকায় প্রাক্কালন ব্যয় ও কার্যাশে জানা যায়নি। তবে ইঞ্জিনিয়ার বলেন সাইনবোর্ড অবশ্যই থাকার কথা। না থাকলে ডিটেইলস পরে েিত হবে। জানতে চাইলে কন্ট্রাক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বন্ধু টাঙ্গাইলের জাহানারা এন্টারপ্রাইজের নামে কাজটি করছি। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস নিমার্ণের প্রাক্কালন ব্যয় অনুমান ৬ কোটি টাকার উপরে হবে কার্যাদেশ মনে নাই। পরে জানাতে হবে। স্কুলের ভবন নিমার্ণের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, স্কুলের কাজ শুরু থেকেই ুনম্বরি হয়েছে। আগে অনেক বালু রিজেক্ট করা হয়েছিল। ভাল মানের ইট দেওয়া হয়নি। পরে এগুলো েিয়ই কাজ করেছে ঠিকাদার। এখন আবার আস্তরের বালু দিয়ে ও মাটি মিশ্রিত পাথর দিয়ে ছাদ ঢালাই করতে চায়। আমারে দাবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ ভাল জিনিস েিয় করতে হবে এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি সাংবিধানিকভাবে ায়িত্ব নেওয়ার পর কাজের বিষয়ে ঠিকাদার বা ইঞ্জিনিয়ার কেউ কিছু জানায় নি। ছা ঢালাইয়ের দিন কন্ট্রাক্টর ইঞ্জিনিয়ার সবাই থাকার কথা কিন্তু ায়িত্বশীল কেউ নেই। নি¤œমানের জিনিস েিয় কাজ করার সুযোগ নাই। উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের এখানে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।
ঠিকাদার নজরুল ইসলাম জানান, আমারে এলসি পাথর ও এই বালুর উপরে আর ভাল কোন জিনিস নাই। অন্যেিক নজরুল ইসলামের পার্টনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এতদিন কোন সমস্যা হইনি, আমার মালামাল কেরিং বেরিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক করাতেন। ভাই মোবাইলে সবকিছু বলতে পারছিনা। আমি পলিটিক্সের শিকার। আমি আপনাকে নিয়ে একান্তে বসব। য়াকরে ছা ঢালাইয়ের কাজটা করতে দেন।
প্রধান শিক্ষক আরিফ মোহাম্মদ ুলালকে একাধিক বার ফোন েিলও ফোন রিসিভ করে নাই।
ায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, আমি শাল্লায় নতুন আসছি। ছা ঢালাইয়ের জন্য এই বালু উপযুক্ত নয়। যেহেতু কাজ এখন বন্ধ আমি সুনামগঞ্জ চলে যাচ্ছি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নয়ন জানান, যে কাজের জন্য যে মেটারিয়ালস প্রয়োজন সেটা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আমার সহকারি ইঞ্জিনিয়ার আমাকে ইনফর্ম করেছেন। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। ভাল সামগ্রী ্রুততম সময়ের মধ্যে এনে কাজ চালু করতে হবে। এবং আমি শাল্লায় কিছুেিনর মধ্যে আসব।