শাল্লার খবর ডেস্ক ::: ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুরে ৫ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অবৈধ নথি (ভারতে আধার কার্ড নামে পরিচিত) ব্যবহার করে সেখানে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বিধায়ক ও সমাজবাদী পার্টির নেতা ইরফান সোলাঙ্কি তাদের বসবাসের অনুমতি দিয়েছিলেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্যানুসারে ওই ৫ বাংলাদেশি হলেন, রিজওয়ান মোহাম্মদ (৫৩), খালিদ মাজিদ (৭৯), হিনা খালিদ (৪৫), রুখসার রিজওয়ান (২১) এবং রিজওয়ান মোহাম্মদের ১৭ বছর বয়সী ছেলে।
কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি বলেছেন, ‘কানপুর পুলিশ রিজওয়ান মোহাম্মদ এবং তাঁর পরিবারের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, ভারতীয় এবং বাংলাদেশি, এবং বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করেছি। আমরা তিনটি জাল আধার কার্ডও উদ্ধার করেছি এবং জাল নথি যা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে সাহায্য করেছে।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা বিধায়ক ইরফান সোলাঙ্কির স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও পেয়েছি। যেখানে তিনি বলেছেন, তাঁরা ভারতীয় নাগরিক। আমরা একজন করপোরেটেরের প্রত্যয়িত কাগজও উদ্ধার করেছি, যিনি বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা কিন্তু ভারতের বাসিন্দা নন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, ইরফান সোলাঙ্কি ওই ৫ বাংলাদেশিকে কানপুরে বসবাসের লিখিত অনুমতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে সোলাঙ্কি কারাবন্দী। এর মাত্র দুদিন আগে, সোলাঙ্কিকে কানপুরের জজমাউ এলাকায় অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় পুলিশ চার্জশিট দেয় ও গ্রেপ্তার করা হয়।
বিধায়ক ইরফান সোলাঙ্কির আইনজীবী অ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র ত্রিপাঠী রোববার বলেছেন, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবে।’ বর্তমানে জমি দখলের উদ্দেশ্যে এক মহিলার বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে জেলে রয়েছেন ইরফান। তিনি চলতি বছরের মার্চেই কানপুরের সিসামাউ আসন থেকে জিতেছিলেন।