শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সিলেটের বৃহৎ আবাসন প্রকল্প রয়েস হোমস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আদালতের রায় বিকৃত করে মিথ্য প্রচারণা চালানোর অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। রয়েল হোমস লিমিটেডের প্রকল্প ‘রয়েল সিটি’ নিয়ে এই মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযো্গ বেলার।
সোমবার বেলার পক্ষ থেকে আইনজীবী জাকিয়া সুলতানা সাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তোলা হয়। নোটিশে মিথ্যে প্রচারণা চালানোর জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়। রয়েল হোমস কর্তৃপক্ষ ছাড়াও নোটিশটির অনুলিপি সরকারের সংশ্লিস্ট বিভিন্ন দপ্তরেও প্রেরণ করা হয়েছে।
রয়েল হোমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে প্রেরিত এই নোটিশে উল্লেখ করা হয়- রয়েল হোমস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাদের ফেইসবুক পেজে আপিল বিভাগের ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ এ প্রদত্ত রায় বিষয়ে যে প্রচারণা (সংযুক্ত) চালানো হচ্ছে তা বেলা’র দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
রোববার রয়েল হোমস লিমিটেডের রয়েল সিটি নামের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়-
“আলহামদুলিল্লাহ, রয়েল সিটি (রয়েল হোমস্ লি:) এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ দায়েরকৃত রীট মামলার বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানী শেষে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ বেলা কর্তৃক সকল মিথ্যা অভিযোগ খারিজ করে আজ (১১ ডিসেম্বর, ২০২২) চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। ফলে আমাদের রয়েল সিটি প্রজেক্টের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোন আইনী বাধা নেই। আমরা শীঘ্রই আমাদের প্রজেক্টের কাজ পূনরায় শুরু করে আপনাদের নিকট প্লট হস্তান্তর শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ।
ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথে থাকার জন্য সম্মানিত গ্রাহক এবং শুভাকাঙ্খীদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
কর্তৃপক্ষ, রয়েল হোমস লিমিটেড।”
এই পোস্টের সূত্র ধরেই আদালতের রায় বিকৃত করার অভিযোগ এনে নোটিশ প্রদান করে বেলা। বেলার নোটিশে রয়েল সিটির ফেসবুক পেজের পোস্টের কথা উল্লেখ করে বলা হয়- রয়েল সিটি কর্তৃপক্ষের এমন পোস্ট অবশ্যই ভ্রান্ত এবং মহামান্য আপিল বিভাগের রায়ের বিকৃতি। মহামান্য আপিল বিভাগবেলা কর্তৃক দায়েরকৃত সিভিল আপিল (নং ২৮৮/২০১৭)খারিজ করেননি বরং নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণের আদেশ দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করেছেন। তাই বেলা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এতে আরও বলা হয়- মহামান্য আপিল বিভাগের প্রদত্ত রায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে রয়েল সিটি প্রকল্পের স্বপক্ষে ৩৬ একর জমিতে প্রদত্ত পরিবেশগত ছাড়পত্রে দেয়া সকল শর্ত (জলাশয় রক্ষা সংক্রান্ত ও অন্যান্য) কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে রয়েল সিটির বিরুদ্ধে কুরি, ভারেরা ও মেদী নামক বিল (জলাশয়)ভরাটের যে অভিযোগ বেলা এনেছে তা কোনোভাবেই অগ্রাহ্য করা হয়নি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে রয়েল সিটি কর্তৃপক্ষের ৩৬ একরের বাইরে সম্প্রসারণের এবং ৩৬ একরের ভিতরের জলাশয় ভরাটের কোনো সুযোগ নেই।
এমতাবস্থায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় যেহেতু অদ্যাবধি প্রকাশ হয়নি সেহেতু বিস্তারিত নির্দেশনা না জেনে ক্রেতাদের ভ্রান্ত করতে রয়েল হোমস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের ফেবুকের মাধ্যমে যে প্রচারণা চালাচ্ছেবাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছে।
অন্যথায় সর্বোচ্চ আদালতের রায় বিষয়ে ভ্রান্ত প্রচারণার অভিযোগে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিে উল্লেখ করা হয়।