• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জ পৌরশহরে পারিবারিক বিরোধে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
সুনামগঞ্জ পৌরশহরে পারিবারিক বিরোধে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

শাল্লার খবর ডেস্ক ::: পারিবারিক বিরোধের জেরে তিন সন্তান ফেলে বাবার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। এতে স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ আর অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক রিকশাচালক।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বড়পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির নাম আক্তার হোসেন (৩২)। তিনি বড়পাড়া এলাকার নূর হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, আক্তার হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বড়পাড়া এলাকার বাসিনা আবুল বাশারের টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন। প্রায় সময় পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রী আমেনা বেগমের সাথে ঝগড়া হতো স্বামী আক্তার হোসেনের। কয়েক দিন এভাবে ঝগড়া করে আমেনা বেগম সন্তানদের রেখে বাবার বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট এলাকায় চলে যায়। এরপর থেকে আক্তার হোসেন স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা করলেও আসেননি আমেনা বেগম।

স্ত্রী চলে যাওয়ার পর আক্তারের তিন সন্তান বড়পাড়া এলাকায় দাদা নূর হোসেনের কাছেই থাকতো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো রিকশা চালিয়ে রোববার দুপুরের পরে বাসায় ফিরেন আক্তার। বিকালে তার দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশিরা আক্তারের ঘর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে ঘরের বাঁশের তীরের সাথে আক্তারের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আক্তার হোসেনের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। অভাব অনটনের সংসার ছিলো। বউয়ের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। ২৩ দিন হলো ছোট ছোট তিন বাচ্চা রেখে বাবার বাড়িতে চলে গেছে বৌ। বউকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেছে আমার ছেলে, কিন্তু বৌমা আসেনি। দুইদিন আগে বউয়ের সাথে কথা হয়েছে তার। ফিরে না আসলে সে মরে যাবে বলে কান্নাকাটি করেছে। আজ সত্যিই আত্মহত্যা করে বসলো আমার ছেলে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার এসআই সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’