শাল্লার খবর ডেস্ক ::: পাকিস্তানের করাচি পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ থেকে ২০ জন।
এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ।
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচ জঙ্গি এবং চারজন সীমান্তরক্ষী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর টানা প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশপ্রধানের কার্যালয়টি জঙ্গিমুক্ত ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী অভিযান শুরু করার পর তিনজন জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বাকি দু’জন অভিযানকালে গুলিতে নিহত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বন্দুকধারীরা পুলিশের পোশাক পরেই ওই ভবনে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায়। গত জানুয়ারিতে পেশোয়ারে মসজিদে হামলার সময়ও জঙ্গিরা পুলিশের পোশাকে ছিল।
প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় অন্তত ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী জঙ্গি অংশ নেয়।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যপমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ জানিয়েছেন, হামলার সময় পুলিশপ্রধান করাচিতে ছিলেন না।
অভিযান চলাকালে করাচি দক্ষিণের ডিআইজি ইরফান বালচ জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। জঙ্গিদের জীবিত অথবা মৃত গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে। তখন অবশ্য হামলায় হতাহতের সংখ্যা বা এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি তিনি।
পাকিস্তানে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিগোষ্ঠীটি ২০১১ সালেও করাচির একটি নৌঘাঁটিতে হামলা করে। ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে জোহরের নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৮০ জনের বেশি মারা যান। আহত হন দেড় শতাধিক মানুষ। সে হামলাও করেছে এ জঙ্গিগোষ্ঠী।