• ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টিএসসিতে হামলার শিকার ছাত্র অধিকার পরিষদ

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
টিএসসিতে হামলার শিকার ছাত্র অধিকার পরিষদ

শাল্লার খবর ডেস্ক ::: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির অভিযোগ তাদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এদিকে, ছাত্রলীগ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদের দাবি, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেছেন। এ হামলায় তাদের ২০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘টিএসসিতে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করব, এটা আগে থেকেই ঘোষণা দেয়া ছিল। আমরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহিদ মিনারের দিক থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে টিএসসির গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে যাই। এরআগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা টিএসসির গেট ব্লক করে রাখে।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় আমাদের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি অবস্থানের সৃষ্টি হয়। একটু পরেই তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ২০ জনেরও অধিক আহত হয়েছেন। আর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’

এদিকে, ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সর বিজয়ে আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ক্রীড়ানুরাগী শিক্ষার্থী টিএসসিতে আনন্দমিছিল করছিলেন। এই আনন্দমিছিল দেখে নাকি ছাত্র অধিকারের নেতা-কর্মীরা বলাবলি শুরু করেছে যে ‘খেলাধুলা হারাম!’ এ কথা বলে ছাত্র অধিকারের নেতা-কর্মীরা ক্রীড়ানুরাগী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। শিক্ষার্থীরা এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন। ক্রীড়ানুরাগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগেরও কয়েক কর্মী ছিলেন। তবে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে নয়, তারা সেখানে গেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সমর্থক হিসেবে। সাধারণ শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরাও সেখানে ছিলেন।