এম এ মালেক
পরিবারের সবার বড় ছেলে জুয়েল। ২০২১ ইং সালের জুন মাসের ৯ তারিখে তার পিতা সমাজসেবী জালাল উদ্দিন আহমদ পরপারে পাড়ি জমান। পিতার মৃত্যুর পর পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে জুয়েলের কাধেঁ। ৩ ভাই আর ২ বোনের মধ্যে সবার বড় জুয়েল আহমদ অত্যান্ত পরিশ্রমি ও মেধাবী।
দক্ষিণ সুরমার ঐতিহ্যবাহী জহির তাহির মেমোরিয়েল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সুনামের সাথে এসএসসি ও সিলেট ইন্টার ন্যাশলাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় কৃতিত্বের সাথে সে উত্তির্ণ হয়। পরে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাসিটি থেকে কম্পিউটার বিভাগে সিএসইতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।
জুয়েলের বসবাস সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলীতে। এলাকায় ভদ্র ও অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী জুয়েল লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবিকার তাগিতে সে হানিফ এন্টারপ্রাইজের সিলেট শাখায় কাউন্টার ম্যানেজারের দায়িত্ব ও পালন করে। জুয়েল কদমতলীর এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য।
তার আপন চাচা মরহুম সমরাজ উদ্দিন ছিলেন হযরত দরিয়াশাহ (রাঃ)সহ চার ওলির মাজারের খাদেম। জুয়েলের ২ চাচা আকতার উদ্দিন ও আফছর উদ্দিন সফল ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জুয়েলের আরেক চাচা প্রয়াত বিলাল আহমদ বেলাল জীবিত থাকাকালীন সময়ে ছিলেন একজন সমাজসেবী ও সংগঠক, জুয়েলের বড় চাচা সিরাজ উদ্দিন আহমদও ছিলেন একজন ন্যায় পরায়ন ও পরোপকারী।
তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। আরেক চাচা প্রয়াত নুরুদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন সমাজসেবী।
ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান জুয়েল স্বপ্নের খোঁজে পাড়ি জমাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। হোম কেয়ার ভিসায় সে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে ঠিকই। তবে সে সেখানে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি প্রবাসে থেকেও এলাকার উন্নয়ন অগ্রতিতে কাজ করবে বলে জানায়। সে সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছে।