• ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জাল দলিলে প্রবাসী দুই ভাইয়ের বাসা দখলের চেষ্টা ছোট ভাইয়ের

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
জাল দলিলে প্রবাসী দুই ভাইয়ের বাসা দখলের চেষ্টা ছোট ভাইয়ের

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

প্রবাসী দুই ভাইকে ফাঁকি দিয়ে একাই মায়ের সম্পত্তি আত্মাসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দেশে থাকা অপর এক ভাই অহিদ আহমদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় অহিদ তাঁর মায়ের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পূর্বে গত ৫ ডিসেম্বর শিবগঞ্জের জনৈক আমির আলীর ছেলে শামিম আহমদের কাছে ওই বাসাটি বিক্রিও করে দেন। ১০ ফেব্রুয়ারি শামিম আহমদ ও তাঁর একদল সহযোগী উক্ত বাসায় এসে বাসার সকলকে বেরিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বাসায় প্রবাসী দুই ভাইয়ের খালা মিনু বেগম, আত্মীয় খালেদা বেগম ও তাঁর প্রতিবন্ধি মেয়ে বসবাস করে আসছেন। শামিম আহমদ ও সন্ত্রাসীরা বাসা না ছাড়লে বাসার সকলকে চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। তাছাড়াও প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণেরও হুমকি প্রদান করেন। সোমবার বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন দুই প্রবাসী ভাইয়ের খালা ২৫/সি খারপাড়া মিরাবাজারের মিনু বেগম। তারপক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রহিম আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মিনু বেগমের বড় বোন ফাতেমা বেগম ক্রয় ও দানসূত্রে মিরাবাজার খারপাড়া মিতালী ২৫/সি নং বাসার মালিক। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে দীর্ঘদিন অজ্ঞান অবস্থায় শয্যাশায়ী ছিলেন। এর আগে ব্রেন স্ট্রোক করে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থ থাকাকালে তিনি কাউকে চিনতেন না। তার সন্তারদেরকেও তিনি চিনতেন না। তার মৃত্যুর অনেক আগ থেকে মিনু বেগমের বড় বোনপো সহিদ আহমদ সপরিবারে কানাডায় এবং মেঝো বোনপো আলী হোসেন সপরিবার ইতালি চলে যান। আর ছোট বোনপো অহিদ আহমদ পরিবার থেকে বিচ্যুত হয়ে তার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। মায়ের কোনো খোঁজখবরও তিনি নিতেন না। মায়ের অবস্থা বেশি খারাপ হলে দেখতে আসেন অহিদ আহমদ। ১২ ডিসেম্বর ফাতেমা বেগম মারা যান। এরপর থেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বাসাটি একাই আত্মাসাত করার পায়তারা শুরু করেন অহিদ আহমদ। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২২ সালের ৩০ মার্চ নিজ নামে বাসার একটি দলিল তৈরি করেন অহিদ আহমদ। তিনি দাবি করেন তার মা তাকে বাসাটি লিখে দিয়েছেন। অথচ ফাতেমা বেগম গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় থাকাকালে তার পাশে সবসময় আত্মীয়-স্বজনরা ছিলেন। যারা বিষয়টি সম্পর্কে মোটেই জানতেন না। এদিকে অহিদ আহমদও বাসা বাড়িতে থাকতেন না। এখন সবার প্রশ্ন কিভাবে একজন মৃত্যুপথযাত্রী মা তার দুই সন্তানকে বঞ্চিত করে এক সন্তানের নামে সম্পত্তি লিখে দিয়ে যাবেন। অহিদের প্রতারণার বিষয়ে এসএমপি কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কানাডা প্রবাসী শহিদ আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রবাসী বোনপোর সম্পত্তি রক্ষা এবং অহিদ ও শামিমদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মিনু বেগম। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।