শাল্লার খবর ডেস্ক ::: বাড়ির সামনের ডোবার পানিতে বড়শি পেতে মাছ ধরা নিয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ধারালো দায়ের কোপে কবীর মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মোজাম্মেল মিয়াকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর গ্রামে কবীরদের বাড়ির সামনে পারিবারিক একটি ডোবা রয়েছে। গতকাল বিকেলে এই ডোবায় বড়শি পেতে কিছু কই মাছ ধরেন কবীর মিয়া। রাতে ছোট ভাই মোজাম্মেল মিয়া খবরটি জানতে পেরে বড় ভাইকে ডাকাডাকি ও গালাগাল করেন। রাত নয়টার দিকে বাড়ির উঠানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে মোজাম্মেল মিয়া হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কবীর মিয়ার মাথায় কোপ দেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় কবীরকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলে রাত পৌনে দুইটার দিকে তিনি মারা যান।
ঘটনার পরপরই মোজাম্মেল নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। আজ দুপুর ১২টার দিকে তাকে পাশের নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, বড়শি দিয়ে পারিবারিক ডোবায় মাছ ধরা নিয়ে ছোট ভাই মোজাম্মেল মিয়ার দায়ের কোপে কবীর মিয়া খুন হয়েছেন। মোজাম্মেল মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় পুলিশ বিভাগ থেকে তার চাকরি চলে গেছে। ঘটনাটি থানার ওসিকে জানিয়েছেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোজাম্মেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ও ঘটনার তদন্ত চলছে।