ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজের বিবরণী সাইনবোর্ড
শাল্লার খবর ডেস্ক ::: পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজের বিবরণ সংক্রান্ত সাইনবোর্ড প্রকল্পের পাশে স্থাপনের কথা থাকলেও সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওরে পাওয়া যায়নি একটিও সাইনবোর্ডও। ফলে কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে পাউবোর দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রকল্পের সঙ্গে সংস্পৃক্তদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সাইনবোর্ড সাঁটানোর জন্য।
বৃহস্পতিবার( ৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর আওতাধীন ৪, ৫, ৬, ৭. ৮ ও ৯ নম্বর প্রকল্প এলাকায় একটি সাইনবোর্ডও দেখা যায়নি। এছাড়া হাওরে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ তদারকির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন থাকার কথা থাকলেও দেখা মিলেনি কাউকে।
নলুয়া হাওরের সাত নম্বর প্রকল্পের সভাপতি আহমদ আলী জানান, অনেক সময় সাইনবোর্ড রাতে চুরি হয়ে যায়। এজন্যে খুলে রাখা হয়েছে।
চার নম্বর প্রকল্পের সভাপতি রধনীর কান্ত দাস নান্টু বলেন, সাইনবোর্ড আছে বাঁধ এলাকায়। চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে রাতে সরিয়ে রেখেছি। তবে দিনের অধিকাংশ সময় বাঁধের পাশেই সাইনবোর্ড সাঁটানো থাকে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাওরের কোথাও কোন প্রকল্পে সাইনবোর্ড নেই। এতে করে নিজের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা উঠছে। এছাড়াও পাউবোর মাঠ পর্যায়ের এসওসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন লোকজনদের হাওরে দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাঁধের কাজ মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ২৪ কিলোমিটার এলাকায় ৪৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে দুইটি প্রকল্পে এখনো কাজ শুরু হয়নি। এবছর বাঁধ সংস্কার ও মেরামতের জন্য ১০ কোটি টাকা সরকারী বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
হাওরে পাউবোর লোকজন নেই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী জগন্নাথপুরের এসও হাসান গাজী জানান, আমরা নিয়মিতই হাওরে কাজ দেখভাল করছি। সাইনবোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্পের সভাপতি/সম্পাদককে সাইনবোর্ড স্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। আজ আমাদের লোকজন সরেজমিনে গিয়ে দেখবে কোন প্রকল্পে সাইন বোর্ড নেই।