• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শাল্লায় ধর্ষণ চেষ্টার জন্য থানায় অভিযোগ 

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
শাল্লায় ধর্ষণ চেষ্টার জন্য থানায় অভিযোগ 
সন্দীপন তালুকদার সুজন : শাল্লা(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৩নং সদর বাহাড়া ইউপির সুখলাইন গ্রামের বাসিন্দা এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণ চেষ্টার অপরাধে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত হরলাল দাশের বখাটে ছেলে হিমাদ্রি দাশ হিমু (৪০) এর বিরুদ্ধে ওই নারী বাদী হয়ে শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হিমাদ্রি দাশ হিমু ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের হাওররক্ষা বাঁধের ছায়ার হাওর উপ প্রকল্পের ১২৩নং পিআইসির সদস্য সচিবও সে।
ওই নারী গত শনিবার (২৮জানুয়ারি) রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গত ২৬ জানুয়ারি দিবাগত অনুমান রাত আড়াইটার দিকে ওই নারীর ভাঙাচোরা বসত ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে হিমাদ্রি দাশ হিমু। ওইদিন সরস্বতী পূজার রাত হওয়ায় ঘরের পাশে পূজা মণ্ডপের সাউন্ড বক্সের শব্দের কারণে চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি। এমন সময় বখাটে হিমাদ্রি দাশ হিমু ঘরে রান্নার কাজে ব্যবহৃত দা হাতে নিয়ে ওই নারীর ৫বছরের ঘুমন্ত শিশু সন্তানের গলায় ধরে রাখে। বখাটে হিমাদ্রি দাশ হিমু হুমকি দেয় যে, চিৎকার করলে তার ৫বছরের শিশুকে খুন করে ফেলবে। প্রাণভয়ে ওই নারী বখাটের খারাপ উদ্দেশ্যের বিষয় কৌশলে একদিন সময় চেয়ে নেন। ঘর থেকে বের হয়েই ওই নারীকে মুঠোফোনে কল করে বখাটে হিমাদ্রি দাশ হিমু। সেখানে সে বলে আমি তোমার জামাইকে ৭০হাজার টাকা দামের একটি ক্যামেরা দিবে, ২হাজার টাকা দামের শাড়ী কিনে দিবে। আমি হাটির মধ্যে আঙ্গুল নাচাইয়া চলতে পারবো। আমাকে নিয়মিত ধর্ষণের জন্য ভিক্ষাও চায় লম্পট হিমাদ্রি দাশ হিমু। ওই মোবাইল ফোনে কথোপকথনের ৬মিনিট ৪সেকেন্ডের কল রেকর্ড রয়েছে ওই নারীর কাছে।
এবিষয়ে হিমাদ্রি দাশ মোবাইল ফোনের রেকর্ডের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি অস্বীকার করতাছি না। আমারে মিস কল দিছে। পিছনের দরজা ভাইঙ্গা আমি রাতে ধর্ষণ করছি না। কয়দিন আগে হের জামাইরে বাইন্ধা নিতগা চায় কিস্তির লাগি। আমি ১হাজার টাকা দিছি। আমার টাকা এখনো দিছে না। আমি দিলীপের সাইডে কাজ করি। অখন কেউ যদি মিছা কথা কয় তাইলে আমি কিতা করতাম কইন। গত শ্রাবণ মাসে হিমাদ্রি দাশ হিমুর স্ত্রী মারা গেছেন বলে জানায় হিমাদ্রি দাশ হিমু।
তবে ওই নারী মিস কলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি মিসকল দেইনি। এইডা তো আমার মোবাইলেই আছে। আমারে কইছে তুই যদি এখন চিল্লাছ তাইলে আমি কইমু তুই আমারে ফোন দিয়া আনছস।
এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ক’দিন থানার বাইরে ছিলাম। এখন আমি হবিগঞ্জ থেকে শাল্লায় আসতেছি। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি যদি সত্য হয় তবে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।