শাল্লার খবর ডেস্ক :::
সিলেট নগরীতে রাতের আঁধারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর টিনশেড ঘর ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানাধীন বনকলাপাড়া এলাকার চৌরাশিগলির ৮৪/৯-এ নং বাসার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ তসির আহমদের স্ত্রী সাহেনা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৪, তারিখ- ২৫/০১/২০২৩ইং ।
মামলায় বনকলাপাড়া নূরানী আ/এ ৮৩/৬৩ নং বাসার মৃত সিকন্দর খানের ছেলে আশরাফ আলম খানসহ ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মহানগরের বনকলাপাড়ায় ঘর ভাঙচুরের ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহানগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন বনকলাপাড়া এলাকার চৌরাশিগলির ৮৪/৯-এ নং বাসার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ তসির আহমদের স্ত্রী সাহেনা বেগম ২০১৯ সালে ওই এলাকায় ৩ শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরে সেখানে টিনশেড একটি ঘর নির্মাণ করে একজন মহিলাকে ভাড়া দেন।
কিন্তু স্থানীয় আশরাফুল আলম খান নামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তি সেই ৩ শতকে তার অংশ রয়েছে বলে কিছুদিন পর পরই জবরদখলের চেষ্টা চালান। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। সর্বশেষ আদালত সেই জায়গার উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরই মাঝে সোমবার রাত ১০টার দিকে আশরাফুল আলম খান ১০/১৫ জন লোক নিয়ে এ ঘর ভঙচুর করেন বলে সাহেনা বেগমের ছেলে সুমন আহমদ অভিযোগ করেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত আশরাফুল আলম খান অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিকদের জানান , এখানে আমার ২৪ শতক রয়েছে। ক্রয়সূত্রে আমি এবং আমার স্ত্রী মালিক। কিন্তু ওই সাহেনা বেগমের ছেলে ও তার সহযোগিরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তারা ওই জায়গার কোনো মালিকই নন। চাঁদা দেইনি বলেই এমন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি ইতিপূর্বে একটি চাঁদাবাজি মামলাও করেছি।
অপরদিকে চাঁদাবাজির মামলার বিষয়ে সাহেনা বেগমের ছেলে সুমন আহমদ বলেন, পুলিশ তদন্ত করে চাঁদাবাজির মামলাটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা বলে প্রমাণ পেয়েছে।