• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি তেলের মজুত

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
সিলেটে ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি তেলের মজুত

শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সিলেটে চলছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। মিলছে না চাহিদার এক তৃতীয়াংশ তেলও। সংকট নিরসন না হলে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে জেলার সব তেল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা পেট্রোল পাম্প মালিকরা।

পাম্পে ফুরিয়ে আসছে ডিজেল, পেট্রোলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেলের মজুত। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি তেল পরিশোধনাগার বন্ধ থাকায় বিভাগের ১১৪টি পেট্রোল পাম্পে বেড়েছে সংকট। গ্রাহক চাহিদা মেটাতে বাড়তি খরচে জ্বালানি তেল আনছে পাম্প মালিক ও ডিলাররা।

পাম্পের একজন কর্মকর্তা জানায়, আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ভৈরব থেকে বাড়তি দামে তেল কিনে আনতে হচ্ছে। খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছি।

ডিপো সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেলওয়ের ইঞ্জিন ও জ্বালানিবাহী ওয়াগন সংকটের কারণে চট্টগ্রাম থেকে চাহিদা মাফিক আসছে না তেল।

এ বিষয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ এএফএম মারুফ বলেন, উচ্চ পর্যায়ে এই সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের কিছুই করার নেই। তেল ডিস্ট্রিবিউশন করা আমাদের কাজ। আমরা তেল পাব, তেল দেব। এছাড়া আমাদের কোনো কাজ নেই।

কয়েক বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছে পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সংকট নিরসন না হলে, আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে জেলার সব তেল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিলেট জেলার পেট্রোল পাম্প মালিকরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ জানান, প্রশাসনের প্রতি এবং সংশ্লিষ্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আকুল আবেদন যদি সঠিকভাবে পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা করা যায় তবে এই সংকট আর থাকবে না।

চলতি মৌসুমে দৈনিক ১০ লাখ লিটারের বেশি জ্বালানি তেলের বিপরীতে সিলেটে সরবরাহ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ লাখ লিটার তেল।