শাল্লার খবর ডেস্ক :::
নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার ৭২ জন আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বন্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজটির কোনো যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় পাননি উদ্ধারকারীরা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বেঁচে আছেন, এমন কাউকে উদ্ধারকাজের সময় খুঁজে পায়নি তারা।
রোববার নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমান এটিআর-৭২ পোখরা বিমানবন্দরে নামার আগে সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। যাকে বলা হচ্ছে নেপালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়। ওই বিমানের ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন পাঁচ ভারতীয়।
ছিলেন ৫৩ জন নেপালি, একজন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দু’জন কোরীয়, একজন আর্জেন্টিনীয় এবং একজন ফরাসি যাত্রী। সবক’টি দেহ উদ্ধার করা না গেলেও বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীভাবে ঘটল এ দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে নেপাল সরকার। ৪৫ দিনের মধ্যে তারা এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।
উদ্ধারকারীরা উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া গেছে। তাতে উড়োজাহাজটি পড়ে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তের ভিডিও পাওয়া যায়।
এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যাসত্য যাচাই করা যায়নি। এতে এক যাত্রীকে জানালা দিয়ে নিচের পোখরা শহর ও সহযাত্রীদের ভিডিও করতে দেখা যায়। এই ভিডিওতে উড়োজাহজাটির ভেতরের শেষ মূহুর্তের অবস্থা উঠে এসেছে।
ভিডিওটির প্রথমদিকে যাত্রীদের বলা কথা ও হাসি শোনা যায়, একজন যাত্রীর চেহারা স্পষ্ট দেখা যায়, সম্ভবত তিনিই ভিডিওটি করছিলেন। আনন্দঘন পরিবেশ হঠাৎই ছন্দপতন হয়, উড়োজাহাজটি পড়ে যেতে থাকলে ঝাঁকুনিতে সম্ভবত মোবাইলটি ওই যাত্রীর হাত থেকে পড়ে যায়। যাত্রীদের চিৎকার, বিস্ফোরণের শব্দ ও জানালার বাইরে ভয়ানক আগুনের শিখা দেখা যায়।