শাল্লার খবর ডেস্ক ::: প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নাম পাল্টে হবিগঞ্জের মঈন উদ্দিন খানের পরিবর্তে কারারক্ষী পদে ২০ বছর চাকরি করা কুমিল্লার সেই তাজুল ইসলামকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিকালে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
জালালাবাদ থানার ওসি নামজুমল হুদা খান জানিয়েছেন, ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এখনও শুনানি হয়নি। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে তাজুল ইসলামকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। তাজুল ব্রাহ্মণপাড়ার দক্ষিণ শশীদল এলাকার মো. কালা মিয়ার ছেলে। ২২ বছর আগে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের নূর উদ্দিন খানের ছেলে মঈন উদ্দিন খানের পরিবর্তে কারারক্ষী পদে চাকরি নেন তাজুল ইসলাম। ২০০১ সালে তিনি কারারক্ষী পদে পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য ও মঈন উদ্দিন খান উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ওই সময়ে কৃতকার্য মঈনের পরিচয়, নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য কাগজপত্র নকল করে তাজুল চাকরিতে যোগ দেন। সিলেট কারাগারে যোগদান করা তাজুল বিভিন্ন সময়ে কুনিল্লা ও চট্টগ্রাম কারাগারে চাকরি করেন।। প্রায় ২০ বছর চাকরির পর ২০২০ সালে জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে সিলেট কারাগারে দায়িত্ব পালন অবস্থায় গা ঢাকা দেন তাজুল। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও চাকরি ফিরে পেতে মামলা করেন মঈন উদ্দিন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাজুলকে গ্রেপ্তার করে সিলেটে পাঠায় র্যাব।
এ বিষয়ে চাকরি বঞ্চিত মঈন উদ্দিন খান বলেন, আমি চাকরি ফিরে পেতে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো। আমি সেই অপেক্ষায় আছি। তিনি প্রতারক তাজুলের বিরুদ্ধে সরকার যাতে সঠিক পদক্ষেপ নেয় সে দাবিও করেন।