শাল্লার খবর ডেস্ক ::: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়াও দুই নারীসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত ও আহতরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকল সাড়ে তিনটার দিকে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের পুরষাই এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশু উপজেলার কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের আসনপুর গ্রামের বকুল গাজীর ছেলে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিদ গাজী (৯)।
আহতরা হলেন, উপজেলার ভূকশীমইল ইউনিয়নের বাদে ভূকশীমইল গ্রামের নজীব আলী (৬২), তাঁর পুত্র শামসুল ইসলাম (৪৫), শামসুলের স্ত্রী জনি আক্তার (৩১), তাদের পুত্র মো. মামুন (১০), নিহত শিশু ফাহিদের মা আছমা বেগম (৩০), পৃথিমপাশার সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক সবুজ মিয়া।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া থেকে রবিরবাজারগামী বরযাত্রীবাহী একটো নোহা মাইক্রোবাসের সাথে কুলাউড়াগামী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি সড়ক থেকে ছিটকে দুমড়ে মুচড়ে যায়। অটোরিকশায় থাকা ফাহিদ নিহত ও চালকসহ বাকি যাত্রীরা গুরুতর আহত হোন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে ফাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মমতাজ খলিল মুন্নি জানান, আহতরা মাথায় ও বুকে প্রচণ্ড আঘাতগ্রস্থ এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। নিহত শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সিএনজি অটোরিকশায় থাকা শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।