শাল্লার খবর ডেস্ক ::: গত এক বছরে সুনামগঞ্জের সদর থানায় ৩৩টি চুরি ঘটনা ঘটেছে। তবে তার মধ্যে ২৮টিরই রহস্য উন্মোচন ও আসামি গ্রেপ্তার করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জে চুরি ঠেকাতে টহল দেয়ার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে বলে গণ্যমাধ্যমকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক।
রোববার বিকেলে চুরি যাওয়া সিএনজিসহ দুইজন চুরকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে এ জেলা গেল ১ বছরের চুরি তথ্য ও আসামি আটকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এদিন আটককৃতরা হলেন, সিলেটের জালালাবাদ থানার লামাগাও গ্রামের বাসিন্দা মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন ও সুনামগঞ্জের বড়পাড়া এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে শাহিনুর হোসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক বলেন, আপনারা জানেন গেল কয়েকদিনে চুরির ঘটনা বেড়েছিল বলেই প্রচার হচ্ছিল তবে আমরা এবং থানার সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় গেল এক বছরে ৩৩ টি চুরির মামলার মধ্যে ২৮ টি মামলাই নিষ্পত্তি করতে পেরেছি, যার মধ্যে আমরা ৫৪ জন চুরকে আটক করেছি, এখানে গরু চুরি, মোটরসাইকেল চুরি, সিএনজি চুরিসহ বিভিন্ন রকমের চুরির ঘটনা রয়েছে।
তিনি বলেন, চুরি একা হয় না একটা সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে এ জেলায় চুরি হয়ে থাকে, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর সাথে সাথে এ বিষয়গুলোর উপর এ্যাকশন নিয়ে আসামিদের আটক করে থাকি। তবে সবাইকে এটা বলতে চাই আমরা আমাদের পুলিশি টহল বৃদ্ধি করেছি, গোয়েন্দা মোবাইল টিমের পাশাপাশি পুলিশের সকল ইউনিট চুরি বন্ধে কাজ করে যাবে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অপরাধ নিয়ে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি, হোক চুরি বা অন্যান্য কিছু, আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখতে সদর থানা এলাকায় আমরা টহল জোরদার করেছি এবং আশা করি চুরির ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমে আসবে।