• ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দিন বৃষ্টির আভাস

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৮, ২০২৫
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দিন বৃষ্টির আভাস

বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে, যা নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে বৃহস্পতি (১০ এপ্রিল) ও শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীসহ সারা দেশে বৃষ্টি বাড়বে। বৃষ্টি চলবে টানা পাঁচদিন ধরে। চার জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ থাকলেও তা প্রশমিত হয়েছে পাঁচ জেলায়। বুধবার (৯ এপ্রিল) তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হবে না।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হবে। এটি (সুস্পষ্ট লঘুচাপ) নিম্নচাপ পর্যন্ত যেতে পারে, এর বেশি কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

 

চলতি এপ্রিল মাসে একাধিক লঘুচাপের কথা মাসের শুরুতেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে সোমবার (৭ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

 

শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

 

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ঘনীভূত হয় এবং সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

 

মঙ্গলবার ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, ফেনী ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। তাপপ্রবাহ বুধবার কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। মঙ্গলবার মাদারীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে, ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।