শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর এলাকা পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হকসহ তিন কর্মকর্তা।
শনিবার তারা দিরাইয়ের পেরুয়া-শ্যামারচরে গণহত্যার স্থান ঘুরে দেখেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুইজন হলেন তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসপি শাহাজাহান কবির ও নূর হোসেন। তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
শ্যামারচরের বাসিন্দা অমর চাঁদ দাস বলেন, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়াও এলাকার বিশিষ্টজনের সঙ্গে তহসিল অফিস চত্বরে মতবিনিময় করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর দিরাইয়ের পেরুয়া-শ্যামারচরের ২০ বাসিন্দাকে হত্যা এবং অন্তত ২০ নারীকে নির্যাতন করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারা কয়েকশ ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। বাবা-চাচাসহ স্বজনরা এ নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন দাবি করে পাঁচ বছর আগে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন পেরুয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রজনী কান্ত দাস। অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে জীবিত ১১ যুদ্ধাপরাধীকে আসামি করে মামলা হয়।
এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০২০ সাল থেকে কারাগারে আছেন উজান দৌলতপুরের জুবের আহমদ, শ্যামারচরের ইমাম জলিল, আব্দুর রশিদ, শাল্লা উপজেলার সুলতানপুরের জাকির হোসেন, শশারকান্দার সিদ্দিক মাস্টার ও দৌলতপুরের তোতা টেইলার্স।