• ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসনের অভিযানে লোভাছড়া কোয়ারীর পাথর জব্দ, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস, জরিমানা

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৯, ২০২৪
প্রশাসনের অভিযানে লোভাছড়া কোয়ারীর পাথর জব্দ, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস, জরিমানা

সিলেটের কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও মজুদ রাখার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিনের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াজিদ ওয়াসিফ সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে পাথর উত্তোলন, বিক্রি, মজুদ রাখার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে উপজেলার ৩নং দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের খুলুরমাটি গ্রামের একটি জায়গায় লোভাছড়া কোয়ারীর পাথর মজুদ করে ক্রাশার মেশিন দিয়ে ভেঙে বিক্রি করার অপরাধে ক্রাশার মেশিন ধ্বংস এবং স্তুপকৃত পাথর জব্দ করা হয়। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সড়কের বাজারের পাশের্^ শাহাজাহান এন্টারপ্রাইজ সহ আরো একটি জায়গায় পাথর ভাঙ্গার দু’টি ক্রাশার মেশিন ধ্বংস করেন। সেখানে থাকা পাথর জব্দ সহ শাহাজাহান এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাজাহানকে পরিবেশ আইনে মামলা দায়েরের মাধ্যমে নগদ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানের সময় সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ, অফিস সহকারী মোঃ সুফিয়ান, স্বাস্থ্য বিভাগের ইন্সúেক্টর মোঃ আবুল কালাম আজাদ, থানার এস.আই পীযুষ চন্দ্র সিংহ সহ একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। জব্দকৃত পাথর ও ক্রাশার মেশিনের মালিকদের বিরুদ্ধে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানাগেছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওয়াজিদ ওয়াসিফ জানিয়েছেন, যাতে করে কেউ বন্ধ হয়ে যাওয়া লোভাছড়া কোয়ারী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করতে না পারে এজন্য প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে মঈনুল হক মেম্বারের ক্রাশার মেশিন ধ্বংস করা হয়। কোয়ারী থেকে বিচ্ছিহ্ন ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে ইতিমধ্যে থানা পুলিশ কোয়ারী এলাকায় টহল ডিউটি দিচ্ছে এবং ইতিপূর্বে পুলিশ কয়েকটি নৌকা সহ পাথর জব্দ করেছে।
প্রশাসনের অভিযান জোরদার করায় স্থানীয়রা জানিয়েছেন বর্তমানে নদীপথে নৌকা নিয়ে পাথর পরিবহন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও মুলাগুল এলাকায় গত দুই সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন স্থানীয় ডেয়াটিলা গ্রামের ছানু মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন, ভাল্লুকমারা গ্রামের হাজী কটর আলীর ছেলে মন্তাজ আলী সহ আরো কয়েকজন বেশ কয়েকটি ট্র্যাক্টর দিয়ে মন্তাজগঞ্জ বাজারের আশপাশ সহ বিভিন্ন জায়গায় পাথর পাচার ও বিক্রি করে আসছে।