শাল্লার খবর ডেস্ক ::: আকাশে মেঘ-বৃষ্টি নেই, কমেছে পাহাড়ি ঢলের পানি। মেঘ মুক্ত আকাশে প্রখর সূর্য আলোতে স্বস্তি ফিরেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মানুষের মধ্যে। কিন্তু বন্যার রেখে যাওয়া ক্ষত নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
উপজেলার সাথে সাতটি ইউনিয়নের অভ্যন্তরিন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নৌকা দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। আর যেসব বাড়িতে পানি কমেছে সে সব বসত বাড়ি পরিস্কার আর মেরামত নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছেন অনেকেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি ষোল গড় পয়েন্ট দিয়ে ১০ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি না হওয়ার নদ নদীর পানি কমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার হাওর ও নদী দিয়ে পানি ধীর গতিতে ভাটির দিকে এগোচ্ছে। অন্যদিকে পানি বন্দি গ্রাম গুলোতে রয়েছে বিশুদ্ধ পানি,খাবার,এর পাশাপাশি গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সড়ক পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না অনেকেই।
উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমেদ জানান,আমাদের গ্রামের অবস্থা খুবেই খারাপ। প্রতিটি বাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এখন পানি কমলেও ঘর থেকে বের হতে পারছিনা কারন চারদিকে পানি আর চলাচলের সড়ক পানিতে ডুবে থাকায়। পানিতে খড়(গরুর খাবার)নষ্ট হওয়ার গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান,বন্যায় সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের কয়েকটি জায়গায় পানি থাকায় গত ৫ দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে মধ্যনগর, ধর্মপাশা উপজেলার মানুষজন জেলার শহরে যেতে গিয়ে নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থদের সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানান, পানি অনেক কমছে, বন্যায় আক্রান্তদের সহায়তা করা হচ্ছে। উপজেলার বন্যায় আক্রান্ত গ্রাম গুলোর দিকে নজর রাখছেন তিনি।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, আমি বন্যা শুরু হওয়া থেকেই আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে সহায়তা করেছি। বন্যা আক্রান্তদের ত্রান সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি কমেছে, আশা করছি পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে, মানুষের দুর্ভোগ কমবে।