• ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে বৃষ্টি থামলেও বেড়েছে ঢলের পানি

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত জুন ২১, ২০২৪
জগন্নাথপুরে বৃষ্টি থামলেও বেড়েছে ঢলের পানি

শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বেড়েছে উজাল থেকে নেমে আসা ঢলের পানি। তবে গুড়ি গুড়ি সামান্য বৃস্টি হলে ফের আতঙ্ক দেখা দেয় মানুষের মধ্যে।

এদিকে শুক্রবার নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আড়াই হাজারের মতো জনসাধারণ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। এছাড়াও অনেক পরিবারের লোকজন আত্মীয়, স্বজনদের উচু বাসা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পরিষদ, সদরের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র জগন্নাথপুর বাজারের মাছ বাজার, সবজি বাজরের একাংশ ও বাজারের তিন থেকে চারটি গলি
পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়া জগন্নাথপুর পৌরসভার জগন্নাথপুর, কেশবপুর, শেরপুর,ভবানিপুর, হবিবনগর, ডরেরপার, ইকড়ছইসহ বেশকিছু এলাকায় নতুন করে পানি উঠেছে। এরইমধ্যে উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়ন প্রায় সব কটি সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়েছে। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির খবরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা ও নলজুর নদীসহ হাওরগুলোতে পানি বেড়ে উপজেলার পাইলগাঁও, আশারকান্দি, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, রানীগঞ্জ, মিরপুর ইউনিয়ন, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পাড়া মহল্লাসহ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। যাতায়াতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। পানি উঠেছে কয়েকটি হাটবাজারে। যেকারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন,আজ সকাল পর্যন্ত ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে দুই হাজার ৮৩ জন মানুষ উঠেছেন। আমরা বাজার তরাকরি করছি। সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নজরে রয়েছে।