শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশাচালক সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫) হত্যার ঘটনায় সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসানকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
সোমবার নিহত জামাল মিয়ার ভাই সৈয়দ হোসাইন মিয়া বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
মামলার বাদী হোসাইন মিয়া বলেন, ‘আসামিরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। চেয়ারম্যান আবুল হাসান তাদের গডফাদার। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। আমার ভাইকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার এক স্বজন দাবি করেছেন, ঘটনার সময় চেয়ারম্যান আবুল হাসান সিলেট শহরে তার বাসায় ছিলেন। তাকে প্রতিহিংসামূলক আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর ঈশানকোনা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আলমগীর মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সৈয়দ হোসাইন আহমেদের কয়েক দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাত নয়টার দিকে সৈয়দ হোসাইনের নেতৃত্বে কয়েকজন সৈয়দ আলমগীরের বাড়িতে গেলে তার (আলমগীর) লোকজন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫), সৈয়দ গফর আহমেদ (২৮), সৈয়দ সেলু মিয়া (৫৫), সৈয়দ হোসাইন মিয়া (৩০) সৈয়দ আনহার মিয়া (৬০) ও সৈয়দ আমিন মিয়া (৬৫) গুলিবিদ্ধ হন। রাত ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আওলাদ হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সৈয়দ জামালের মৃত্যু হয়।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পরস্পরের আত্মীয়। আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।