• ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শাল্লা পিআইসিতে স্বাক্ষর জালিয়াতি: ৭ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১৮, ২০২৩
শাল্লা পিআইসিতে স্বাক্ষর জালিয়াতি: ৭ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ

 শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের শাল্লায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ সংস্কার কাজের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সদস্য রাখায় উপজেলার নারকিলা গ্রামের দেবল তালুকদার সরকারি ৭ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ডাকযোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ (২)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপূর্বে গত ১৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দেবল তালুকদার।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন সরকারি সুবিধা দেয়ার কথা বলে আমার ভোটার আইডিকার্ড, ছবি ও বাড়ির পর্চা নিছে। পরে স্বাক্ষর জাল করে ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় ১৯নং পিআইসির সদস্যপদে রাখে ওই প্রকল্পের সদস্য সচিব পাবেল আহমেদ। দেবল তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করার সময় বাঁধা দিয়েছিলেন ওই প্রকল্পের সভাপতি গো-পেশ চন্দ্র দাস। কিন্তু দাম্ভিক পাবেল আহমেদ গো-পেশ চন্দ্র দাসকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে দেবল তালুকদার বলেন পাবেল আহমেদ খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। অভিযোগ করায় পাবেল আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন খুবই ভয়ে আছি। এবিষয়ে গো-পেশ চন্দ্র দাস বলেন পাবেল আহমেদ স্বাক্ষর জাল করেছে আমার সামনেই। আমি বাঁধ দিয়েছি। আমি বলেছি এনিয়ে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হলে দায় আমি নিব না। পাবেল আহমেদ এসওরে টাকা দিব কইয়া প্রায় দেড় লাখ টাকা আমার কাছ থেকে জোরে নিয়া গেছে। আমার অনেক বড় ক্ষতি করছে সে। আমাকেও পাবেল চাঁদাদাবির মামলায় মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হুমকিও দিতাছে।

এনিয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ (২)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা মুঠোফোনে বলেন, এমন হলে তো মারাত্মক অপরাধ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এবিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন আমি ওই পিআইসির বিল বন্ধ রাখতে বলেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনিও জানান।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার বলেন অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনিও।