• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জগন্নাথপুর

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১৬, ২০২৩
লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জগন্নাথপুর

 শাল্লার খবর ডেস্ক ::: রমজান মাসে প্রবাসী অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে।

একদিকে অসহনীয় লোডশেডিং, অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। রোজার মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ও মিলছে না বিদ্যুৎ। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছেন উপজেলাবাসীর মধ্যে।

এদিকে গত দু’দিন ধরে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় বইছে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মোবাইল নেটওয়ার্কও ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে অপারেটররা ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজেদের ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালাতে পারে, কিন্তু এর বেশি হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে করেও দেখা দেয় চরম ভোগান্তি।

জগন্নাথপুর বাজারের একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার রনি বাবু বলেন, মাত্র ঈদ বাজার জমে উঠেছিল। প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। এতে বেচাকেনা কম হওয়াতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার সৈয়দ গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ সাহাদ আহমদ বলেন, দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এতো বেশি লোডশেডিং মেনে নেওয়া যায় না। সারা দিন রোজা রেখে মানুষ শান্তিতে ইফতার ও তারাবি নামাজ পড়বে, তাও পারছে না। রোজার মাসে বিদ্যুতের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি আমরা।

সোমা নামের এক গৃহিণী বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তোলা যাচ্ছে না। অচল হয়ে পড়েছে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ। প্রচণ্ড তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুতের অত্যাচারে শিশু ও বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শহরের ইকড়ইছ এলাকার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী তহুর উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে এসেছিলাম সবার সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে। কিন্তু দিন নেই রাত নেই প্রচণ্ড গরমের সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছেই। বিদ্যুতের এমন অবস্থায় এখন অসুস্থ বোধ করছি। এমতাবস্থায় দেশে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে।

উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন, প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে চাহিদা অনুযায়ী সিলেট থেকে এ উপজেলায় বরাদ্দ কম। ফলে ৬০ ভাগ বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।