থানায় মামলা, গ্রেপ্তার দুই
শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাছন নগরে হাঁস-মুরগি চুরির অপবাদ দিয়ে কালন মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে মারপিট করা হয়েছে। তাকে বাঁশের লাঠি ও প্লাস্টিকের মোটা পাইপ দিয়ে মারধর করেন অন্তত চার ব্যক্তি।
১৪ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের নতুন হাছন নগরের আমিরুল ইসলামের বাড়িতে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে কালন মিয়াকে গাছে বেঁধে মারপিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। নির্যাতনের শিকার কালন মিয়া জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে। বর্তমানে শহরের নতুন হাছন নগরের বাসিন্দা। বাবার সামনেই কালন মিয়াকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েক মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়. গাছে বাঁধা কালন মিয়ার আশপাশে লাটি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪/৫ যুবক ও মধ্যবয়ষ্ক এক ব্যক্তি। এর কিছুক্ষণ পরপরই লাটি ও প্লাস্টিকের মোটা পাইপ দিয়ে ওই কালন মিয়াকে বেদম মারধর করা হয়। এবং কান্না-কাটির শব্দ শোনা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নতুন হাছন নগরের আনছার আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫০) ও নুর উদ্দিনের ছেলে রুপাই মিয়া (৫০)। এই ঘটনায় গতকাল শনিবার গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ চার জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলায় দায়ের করেছেন কালন মিয়ার বাবা কাদির মিয়া । গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন জানান, কালনের বিরুদ্ধে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। তাকে গাছে বেঁধে মারার বিষয়টি জানা ছিল না। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আমরা বিষয়টি অবগত হই। এটা অমানুষিক ও খুবই জগন্য কাজ। কেউ অপরাধ করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ না করে এভাবে গাছে বেঁধে মারপিট করা ঠিক না। ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, শহরের নতুন হাছননগরে হাঁস-মুরগি চুরি করার সন্দেহে কালন মিয়া নামের এক যুবককে গাছে বেঁধে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই অপরাধের সাথে জড়িত অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।