• ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

একমাসেও খোঁজ নেই মাদরাসা ছাত্র সুলতানের

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২২
একমাসেও খোঁজ নেই মাদরাসা ছাত্র সুলতানের

শাল্লার খবর ডেস্ক ::: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুরকইল আলহাজ্ব হাবিব চিশতিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদাসা থেকে গত প্রায় একমাস ধরে নির্খোঁজ রয়েছেন সুলতান মিয়া নামের ১৮ বছরের এক কিশোর। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।

এ ব্যাপারে কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেই দায়িত্ব সেরেছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তার খোঁজ করা হচ্ছে। আবেদন করা হয়েছে র‌্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পেও।

সুলতান ও তার এক সহপাঠি মাদরাসা থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল বলে ধারনা করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। গত ৫ নভেম্বর রাত ৩টার সময় সুলতান মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায় বলে ১২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ নুরুল আমিন।

সুলতানের পরিবার দাবি করেছে, এক সহপাঠিকে সাথে নিয়ে সেই রাতে মাদরাসা ছেড়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌছে সুলতান। কিছুক্ষণ পর সুলতানের সহপাঠি বাড়ি চলে গেলেও সুলতান আরেকটি ট্রেনে চড়ে ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা দেয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। পরবর্তীতে ০১৮৩৩৯০৪৫১৮ এই নাম্বার থেকে সুলতানের বড় বোনজামাই আনজব আলীর কাছে কল করে সুলতান সড়ক দুর্ঘটনার পড়েছে এবং তার চিকিৎসার জন্য দরকার বলে জানান এক ব্যক্তি। কয়েকবার টাকা চেয়ে ব্যর্থ হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সুলতানের মা রয়ফুল বেগম জানান,মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তার ছেলে শান্তশিষ্ঠ এবং গত ৫ বছর ধরে মাদরাসায় থেকে পড়াশোনা করে আসছে। মাঝে মাঝে বাসায় আসে। তবে কখনো না বলে কোথাও যায়নি। অথচ এক মাস হতে চলল তার কোনো খোঁজ নেই। কোনো সুহৃদয় ব্যক্তি তার খোঁজ পেলে ০১৭৪৮৮৮৩০৫৫ এই নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থী কেন পালিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। তবে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে কসবা থানা পুলিশ জানায়, সুলতানের খোঁজ চলছে।