সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেট বিভাগীয় শাখার বার্ষিক আনন্দন ভ্রমণ, ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাকৃতিক লীলাভূমি সাদা পাথর ভ্রমণের পর অপরাহ্ণে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কে খেলাধুলা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। সকালে ফাল্গুনের নাতিশীতোষ্ণ হাওয়া শরীরে জড়িয়ে গণমাধ্যম কমিশন কার্যালয়ে জমায়েত হন কমিশনের সদস্যরা। সবার সরগরম উপস্থিতিতে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।
মির্জাজাঙ্গাল কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু হয় সকাল সোয়া ১০ টায়। গান, গল্পে মুখরিত হয়ে উঠে গাড়ির পরিবেশ। চলতি পথে গাড়িতে বসে সেরে নেয়া হয় নাস্তা। কোনো এক শুভ খবরে সবাইকে মিষ্টমুখ করাতে সংগঠনের গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মধ্য পথে নেমে কিনে নেন মিষ্টি ও কোমলপানীয়।
দুপুর ১২টায় কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পৌছে আনন্দন ভ্রমণের যানবাহনটি। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে তৃতীয় লিঙ্গের সহস্যদের আক্রমণে বিব্রতবোধ করে সবাই। কোনোভাবে তাদের ম্যানেজ করে ফটোসেশন প্রতিযোগিতায় কেটে যায় কিছু সময়। দুই নৌকাযোগে সাদা পাথার স্পটে যাত্রাকালে নৌযানেও চলে সেলফিবাজী।
নৌকায় বসে অধিকাংশ পর্যটকের চোখ পড়ে বৃটিশ আমলের স্মৃতি বিজড়িত রোপওয়ে টাওয়ারগুলোর দিকে। একটা সময় এই টাওয়ারের কেবল দিয়ে ভোলাগঞ্জ থেকে ১১ কিলোমিটার দুরে ছাতকে পাথর পরিবহন করা হতো। দাঁড়িয়ে থাকা আকাশছোঁয়া পাহাড় দেখতে দেখতে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক লীলাভূমি সাদা পাথর স্পটে পদধূলি পড়ে কমিশন পরিবারের।
স্বচ্ছ, শীতল পানি আর শান্ত পরিবেশের বিশুদ্ধ বাতাস নিমিষে মুগ্ধ করে পর্যটকদের। ইট পাথর আর যান্ত্রিক পরিবেশে থাকা শরীর, মন এক অনন্য ভুবনে ডুবে মিতালী করে প্রকৃতির সাথে। সময়ের ডাকে একটা সময় ক্ষণিকের আনন্দঘন মুহূর্তকে পেছনে ফেলে কমিশনের প্রতিটা সদস্যের ফেরতে হয় ধুলোবালির শহরে। স্থানীয় রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার শেষে যাত্রাবিরতী হয় কোম্পানিগঞ্জ হাইটেক পার্কে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে নির্মাণাধীন পার্কের অভ্যন্তরে ক্রিড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রিং নিক্ষেপ খেলায় দ্বৈতভাবে বিজয়ী হন সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শেখ জাবেদ আহমদ এমরান (জাবেদ এমরান) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন খাঁন।
হাড়ি ভাঙ্গায় বিজয়ীরা হলেন- কমিশনের সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন খাঁন, তাহিন আহমদ ও মাহমুদুর রহমান নাহিদ। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পুরষ্কার বিতরণকালে সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, সম্মেলিত প্রচেষ্টা ছাড়া কোনো প্রোগ্রাম সফল হয়না। আনন্দ ভ্রমণ সফল হওয়ার পেছনে প্রত্যেক সদস্যের অবদান ছিলো।
সে জন্য সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে দেশের বাহিরে আনন্দ ভ্রমণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। আনন্দন ভ্রমণ, ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুনির্মল সেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ জাবেদ আহমদ এমরান (জাবেদ এমরান), সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক, মো. মহিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন খাঁন, কোষাধ্যক্ষ শহিদ আহমদ খাঁন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. আকমল হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন খাঁন, গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান। আরো ছিলেন- কমিশনের সদস্য কামরুল হাসান চৌধুরী তুহিন, তাহিন আহমদ, দিলোয়ার হোসেন, আজিজুল হক ও মাহমুদুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি