শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) র্যাগিংয়ের দায়ে ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ৫ জনকে বহিস্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেও তাদের নাম প্রকাশ করে নি।
তবে বৃহস্পতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সুত্র থেকে বহিস্কৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- আপন মিয়া, মো. আল আমিন, মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন ও মো. আশিক হোসেন। তারা সকলেই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
ক্যাম্পাস সুত্রে জানা গেছে, শাস্তি পাওয়া সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তবে তারা কোন পদে নেই। শাবিতে ছাত্রলীগের কোন কমিটিও নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে র্যাগ দিয়েছিলেন একই বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। র্যাগের শিকার নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন মোবাইল ফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধানকে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ৫ জনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
এদিকে র্যাগের ঘটনা তদন্ত বুধবার বিকেলে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মাজহারুল হাসান মজুমদার, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট আবু সায়েদ আরফিন খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মনিরুজ্জামান খান ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান।
কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলাম বৃ্হস্পতিবার বলেন, আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।