• ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অর্থ আত্মসাত : সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১০ জনের কারাদণ্ড

Dainik Shallar Khabor.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১১, ২০২২
অর্থ আত্মসাত : সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১০ জনের কারাদণ্ড

শাল্লার খবর ডেস্ক ::: সোনালী ব্যাংকের ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবিরসহ নয়জনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে তাদের ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।

এছাড়া সাবেক ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেনকে আট বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড এবং আত্মসাৎ করা অর্থ ১০ আসামির কাছ থেকে সমহারে আদায় করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান, ডিএমডি মাইনুল হক, এপিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মণ্ডল ট্টেডার্সের মালিক মুকুল হোসেন।

রায় ঘোষণার সময় কারাগারে আটক থাকা সাবেক ডিএমডি মাইনুল হক, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজিএম কামরুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি ৬ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে রমনা থানায় এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড বরাবর মিথ্যা আমদানি রপ্তানি দেখিয়ে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ৪৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন।